টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট এর নাম জানুন ইনকাম করুন

আমরা যে যাই করিনা কেন, দিনশেষে সবাইকেই টাকার পেছনেই ছুটতে হয়। যে যাই বলুক, সমাজ জীবনে চলতে গেলে টাকার প্রয়োজন আছে। টাকা ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব না। আজ আমি বেশকিছু টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে আলোচনা করবো। যেই ওয়েবসাইট গুলো থেকে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি সত্যিই অনলাইন থেকে ইনকাম করার আগ্রহ নিয়ে এই আর্টিকেলটি পড়তে আসেন, তাহলে ‘টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট’ গুলো দেখার আগে আপনাকে কিছু বিষয় জানাতে চাই। যা নতুন হিসেবে জানার প্রয়োজনবোধ করি।

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইটঃ

ইন্টারনেট জুড়ে হাজার হাজার নকল ওয়েবসাইট ও প্রতারণার জাল বিছানো রয়েছে। একটি ওয়েবসাইটে কাজ করতে হলে সেই ওয়েবসাইট সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা রাখতে হবে। বিশেষ করে কাজের ধরণ ও পেমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে জানা উচিৎ।আমাদের এই লিস্টে যেই ওয়েবসাইট গুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার প্রতিটি সাইট থেকেই আজীবন ইনকাম করতে পারবেন। তবে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে। পাশাপাশি এই সাইটগুলোতে কাজ করার জন্য আপনাকে যে কোন এক বা একাধিক বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে। অর্থাৎ, কাজ করার জন্য কাজ জানা প্রয়োজন। চলুন জেনে নিই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়। নিচে কিছু টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট এর নাম নিয়ে আলোচনা করা হলো যা আপনাদের উপকারে আসতে পারে।

(১) মার্চ বাই আমাজনঃ

অ্যামাজন ইন্ডিয়ার মার্চ বাই অ্যামাজন হচ্ছে, ভারতীয়দের জন্য তৈরি একটি জনপ্রিয় পৃন্ট অন ডিমান্ড মার্কেটপ্লেস। আপনি ভালো ডিজাইনার হয়ে থাকলে এটি আপনার কাছে, ইনকামের একটি লাভজনক উপায় হতে পারে। অন্যান্য প্রিন্ট অন ডিমান্ড প্ল্যাটফর্ম থেকে আমাজন এর জনপ্রিয়তা বেশি হওয়ায় এর ওয়েবসাইটে সবসময় বেশি ট্রাফিক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানে এখানে আপনি আপনার ডিজাইনের জন্য যথেষ্ট ক্রেতা সহজেই খুজে পাবেন। আপনাকে মার্চ বাই আমাজন ইন্ডিয়া কে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, আপনার কাছে উচ্চমানের প্রয়োজনীয় ডিজাইন দক্ষতা আছে। এবং আপনি চাহিদা অনুযায়ী প্রিন্ট এর ব্যবসা চালাতে পারেন।যেহেতু এটি একটি ভিজ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম তাই আপনাকে আপনার ডিজাইন গুলো কে সর্বোচ্চ উচ্চমানের করে তুলতে হবে। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার না হন তাহলে আপনাকে তা শিখে নিতে হবে এবং ফ্রিল্যান্সার ডিজাইনার নিয়োগ করতে হবে।
আপনি থ্রেড বাস্কেট এর মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে লাইসেন্স এর উৎস বেছে নিতে পারবেন। এখান থেকে অ্যামাজন এর মত যে কোন প্রিন্ট অন ডিমান্ত প্লাটফর্মে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সকল ডিজাইনগুলো আকর্ষণীয় উচ্চমানের হতে হবে। আর একবার আপনি এই ডিজাইনগুলো কিনে নিলে আপনি এর লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। কিন্তু আপনি যে ডিজাইন গুলো করবেন তা অবশ্যই যে, কোনো একটি নির্দিষ্ট ধারার হতে হবে। ভারতের অনেক ব্যবহারের জন্য সম্ভবত সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জিং হচ্ছে এর পেমেন্ট এর ব্যবস্থা কি। এখানে আপনি পেমেন্ট পাওয়ার জন্য পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন। আর এখানে আপনার পেমেন্ট আমেরিকান ডলার যুক্ত হবে। আপনি যদি এই মার্চ অ্যামাজন ওয়েব সাইটে কাজ করতে চান। তাহলে, সেই কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী আপনাকে অবশ্যই ডিজাইনিং এর কাজ শিখতে হবে। আমরা আপনার জন্য ওয়েবসাইটের একটি লিংক যুক্ত করে দেবো। সেখানে ক্লিক করে আপনারা চাইলে, ওয়েবসাইটে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। আর অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য কাজ শুরু করতে পারবেন। টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট ।

(২) আপওয়ার্ক এর মাধ্যমে ইনকাম করুনঃ

আপওয়ার্ক এর পূর্ব নাম ছিল ওডেস্ক। ওডেক্স এর প্রতিষ্ঠাকাল ২০০৩, ক্যাম্পবেল, ক্যালিফোর্নিয়া। এটি আমেরিকান একটি প্রাইভেট কোম্পানি। প্রতিষ্ঠাতা হলেন ওডিসিস সাটালোস স্ট্র্যাটিস কারাম্যানলাকিস। ওডেস্ক এর বর্তমান নাম হলো আপওয়ার্ক। এটি পৃথিবীব্যাপী চাকরির বাজারভিত্তিক কোম্পানি। যার লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের সাহায্যে নির্দিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণীর কাজে দূরবর্তী কর্মীদের ভাড়া করে করিয়ে নেয়া। আপওয়ার্ক এমন একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেখানে বিশ্বের প্রায় ০ মিলিয়ন মানুষ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে। আপওয়ার্কে প্রায় সব ধরণের কাজ পাওয়া যায়। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ হলোঃ

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন
  • কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি
  • এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি
  • এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)
  • প্রোগ্রামিং ইত্যাদি

দীর্ঘমেয়াদী টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে আপওয়ার্ক হতে পারে আপনার ক্যারিয়ার গঠনের একটি সুনির্দিষ্ট পন্থা। তবে আপওয়ার্কে কাজ করতে হলে আপনাকে এমন কোন কাজে দক্ষ হতে হবে, যে কাজের চাহিদা রয়েছে। হতে পারে সেটা গ্রাফিক, ওয়েব বা প্রোগ্রামিং রিলেটেড কোন কাজ। বাংলাদেশ থেকে অগণিত ফ্রিল্যান্সার আছে যারা আপওয়ার্কে কাজ করে। আপনি যদি পুরোপুরি নতুন হন তবে শুরুতেই আপওয়ার্কে যাবেন না।

(৩) ফাইভার এর মাধ্যমে ইনকামঃ

ফাইভার একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। ২০০ সালে ইসরাইলের একটি কোম্পানি এটি প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠাতা হলেন মিকা কাফম্যান এবং শাই উইনারা। কোম্পানিটি ‘ফাইভার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নামে পরিচিত। ফাইভারের প্রতিটি সেবাকে ’গিগ’ বলা হয়। যারা সার্ভিস দেয় বা কর্মী হিসেবে কাজ করেন তাদেরকে ’সেলার’ হলা হয়। ফাইভারে যে কোন ডিজিটাল পরিষেরা কেনা এবং বিক্রয় করা যায়।
ফাইভার মার্কেটপ্লেসের সাথে পৃথিবীর মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ যুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশ থেকেও হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার আছে যারা ফাইভারে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে। টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে ফাইভার হতে পারে আপনার ক্যারিয়ার গঠনের চমৎকার একটি পথ। ফাইভারে বিভিন্ন ধরণের গিগ তৈরি করে কাজ করা যায়। তারমধ্যে যেমনঃ

  • ওয়েব ডিজাইন
  • লোগো ডিজাইন
  • এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)
  • কভার ডিজাইন
  • কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি
  • এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি
  • ভিডিও এডিটিং
  • অ্যানিমেশন ইত্যাদি

ফাইভারে কাজ করতে হলে ’গিগ’ এর মাধ্যমে আপনার দক্ষতা উপস্থাপন করতে হবে। প্রতিটি গিগকে পোর্টফোলিও হিসেবে ধরা যেতে পারে। যাইহোক, ফাইভারে কাজ হলেও আপনাকে এমন কোন কাজ শিখতে হবে যে কাজের অনলাইনে চাহিদা রয়েছে।

(৪) ফ্রিলান্সার.কম থেকে ইনকামঃ

ফ্রিলান্সার.কম হলো বিশ্বব্যাপী সমাদৃত মুক্তপেশাজীবীদের জন্য একটি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে ফ্রিলান্সার.কম এর খ্যাতি বিশ্বময়। ফ্রিল্যান্সার.কম মার্কেটপ্লেস এর সাহায্যে আপনি পৃথিবীর অনেক বড় বড় কোম্পানির সাথে ঘরেই কাজ করতে পারবেন। এই সাইটটি তাদের কর্মী বা ফ্রিল্যান্সারদের কে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ দিয়ে থাকে। ফ্রিলান্সার.কম বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে শীর্ষ তিন ধরণের কাজ পেয়ে থাকে। তারমধ্যে ৩৪ শতাংশ আইটি ও সফটওয়্যার, ৩ শতাংশ ডিজাইন, মিডিয়া ও স্থাপত্য এবং ১৩ শতাংশ লেখা ও কন্টেন্ট তৈরির কাজ। বাংলাদেশ থেকে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে সবার জন্যই ফ্রিলান্সার.কম অনেক সুযোগ-সুবিধা দেয়। ফ্রিলান্সার.কম এর মাধ্যমে প্রায় সব ধরণের কাজ পাওয়া যায়। প্রোগ্রামিং এবং ডিজাইন রিলেটেড কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে।

(৫) অ্যামাজন থেকে ইনকামঃ

অ্যামাজন.কম একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা যা বৃহত্তম মার্কিন ইলেক্ট্রনিক বাণিজ্যিক কোম্পানি নামে খ্যাত। যেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে অবস্থিত। অ্যামাজন.কম এ যে কোন ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। অ্যামাজন কোম্পানিটির প্রাক্তন নাম হলো ক্যাডাবরা। এটি বিশ্বব্যাপী একটি কোম্পানি। পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে আন্তর্জাতিক শিপিং এর মাধ্যমে অ্যামাজন থেকে যে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করা যায়।
টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে অ্যামাজন.কম অনেক ভালো। তবে এই সাইট থেকে ইনকাম প্রক্রিয়া ভিন্ন। অ্যামাজন.কম থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর শরণাপন্ন হতে হবে। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করাটা একটু কঠিন বিষয়। যেটা করার জন্য আপনাকে ব্লগিং বা ইউটিউবিং করতে হবে, অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার অন্যান্য পদ্ধতি গুলো ফলো করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে করতে হয় তার উপর আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল সিরিজ রয়েছে।

(৬) থিম ফরেস্ট এর মাধ্যমে আয় করুনঃ

থিম ফরেস্ট হলো পৃথিবীর বৃহত্তম ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রেতা কোম্পানি। থিম ফরেস্টকে ’ইনভাটো মার্কেট’ বলেও ডাকা হয়। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশের সাথে তাদের বাণিজ্য রয়েছে। থিম ফরেস্ট ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রেতা কোম্পানি হওয়ায় এখানে প্রতিনিয়তই লক্ষ লক্ষ ডলারের বাণিজ্য হয়। থিম ফরেস্ট বা ইনভাটো মার্কেট একটি অনলাইন শপিং মল। এখানে আপনি যা যা পাবেনঃ

  • গ্রাফিক্স টেমপ্লেট
  • এইচটিএমএল টেমপ্লেট
  • ওয়েবসাইটের থিম
  • অডিও ও ভিডিও
  • বিভিন্ন CMS
  • হোস্টিং
  • এলিমেন্টর
  • প্রোগ্রামিং ও কোডিং রিলেটেড প্রায় সবকিছু।

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট থিম ফরেস্ট বা ইনভাটো মার্কেট আপনাকে দুই উপায়ে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তারমধ্যেঃ

  1. ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে আয়।
  2. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়।

(1) থিম ফরেস্টে পণ্য বিক্রি করে আয় করুনঃ

আপনি যদি ডিজিটাল পণ্য তৈরি করতে পারেন, তবে আপনি চাইলে থিম ফরেস্ট থেকে আজীবন ইনকাম করতে পারবেন। ডিজিটাল পণ্য বলতে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও এন্ড্রয়েড অ্যাপস ইত্যাদি। বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া থেকে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে থিম ফরেস্ট অনেক ভালো। আপনি যদি থিম ফরেস্টে পণ্য বিক্রি বা তাদের অ্যাফিলিয়েট করেন, তবে নিশ্চিন্তে অনেক ভালো আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিদেশীদের টার্গেট করতে হবে।

(2) থিম ফরেস্টে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় বাড়ানঃ

আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জেনে থাকেন তবে দেখবেন যে, যারাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেছে তাদের প্রায় অধিকাংশ মানুষই সফল। তবে আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করেন, তবে আপনাকে প্রথমেই প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ, আপনি কোন ধরণের প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন? উদাহারণতঃ ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট ও ডিজিটাল প্রোডাক্ট। ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য অ্যামাজন.কম সবচেয়ে বেস্ট। ঠিক একই ভাবে ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর উপর  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য থিম ফরেস্ট বা ইনভাটো মার্কেট আপনার পথম পছন্দ হতে পারে।

(৬) পিপল পার আওয়ার এর মাধ্যমে আর্নিং করুনঃ

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে পিপল পার হাওয়ার এটিও একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসটির সূচনা হয় ২০০৭ সালে। এরই ধারাবহিকতায় এখন পর্যন্ত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর মতই পিপল পার আওয়ার। এই সাইটেও প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও সফটওয়্যার রিলেটেড কাজ পাওয়া যায়। পিপল পার হাওয়ার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য আপনাকে কাজের দক্ষতার প্রমাণ হবে। কেননা, এই সাইটে প্রায় প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সার প্রো লেভেলের। যার কারণে এই সাইটের প্রত্যেকটি প্রজেক্ট এর বাজেট বেশ ভালো।

(৭) ইউটিউব থেকে আয় করুনঃ

বাংলাদেশ থেকে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে ইউটিউব প্রায় সবার উর্ধ্বে। ইউটিউবকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মতো কিছুই নেই। ইউটিউব সম্পর্কে আমার চেয়েও ভালো জানেন অনেকেই। যাইহোক, বাংলাদেশে অগণিত মানুষ আছে এমন, যারা ইউটিউব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে সফলতা দেখিয়েছেন। ইউটিউবে কাজ করে ইনকাম করার জন্য বহু পথ রয়েছে। যা আপনি ইতোমধ্যেই জানেন হয়ত। না জানলে কমেন্ট করবেন।

(৮) ফেসবুক এর মাধ্যমে আয় করুনঃ

ফেসবুক আমরা প্রায় সকলেই ব্যবহার করি। তবে আমাদের বেশিরভাগ মানুষই জানিনা যে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়। কিন্তু আপনার -আমরা মতই লক্ষ লক্ষ মানুষ ফেসবুক ওয়েবসাইট থেকে আয় করে তাদের ক্যারিয়ার গড়েছে। ফেসবুকে আয় করার বিষয়টা প্রায় ইউটিউব এর মতই। তবে ইউটিউব থেকে আপনি শুধুমাত্র ভিডিওর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আর ফেসবুকে থেকে আয় করার বিষয়টা আরেকটু এডভান্স বলা যায়। টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে আপনি ফেসবুককে টার্গেট করতে পারেন। কেননা, ফেসবুকে আমাদের অনেক সময় অযথায় নষ্ট হয়। ফেসবুকে সময় দেওয়ার কারণে আমাদের ক্যারিয়ার লাইফেও অনেক পিছিয়ে যেতে হয়। অথচ, ফেসবুক আমাদের জন্য তাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ইনকাম করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট । ফেসবুক থেকে আপনি বেশ কয়েকটি উপায়ে আয় করতে পারবেন। যেমনঃ

  • ভিডিও
  • ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল
  • সার্ভিস প্রমোশন
  • প্রোডাক্ট বিক্রি ইত্যাদি

এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়। আমরা ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে একটি আর্টিকেল লিখেছি। এ

(৯) ফ্রিপিক এর মাধ্যমে আয় করুনঃ

বাংলাদেশ থেকে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে ফ্রিপিক অনেক ভালো সুবিধা দেয়। তবে কোন এক অজানা কারণে এই সাইটটি নিয়ে কেউ কথা বলে না। অথচ, তাদের সাইটে কাজ করার মাধ্যমে দারুণ ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। ফ্রিপিক মূলত একটি ডিজাইন রিলেটেড অনলাইন মার্কেট। এই সাইটটি গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য সবচেয়ে ভালো। এই সাইটে গ্রাফিক্স ডিজাইন, বিভিন্ন ড্রয়িং ও ছবি ইত্যাদি নিয়ে কাজ হয়। ফ্রিপিক থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপনার তৈরি করা বিভিন্ন ডিজাইন সেই সাইটে আপলোড করবেন। মজার বিষয় হলো, ফ্রিপিক আপনাকে এমন একটি পেসিভ ইনকাম এর সুযোগ দেয় যা অন্যান্য সাইট সাধারণত দেয় না। যেমনঃ আপনি একটি ডিজাইন তৈরি করে ফ্রিপিক ওয়েবসাইটে একবার আপলোড করবেন। তারপর ঐ ডিজাইনটি যতবার ডাউনলোড হবে তার বিনিময়ে আপনাকে অর্থ দেওয়া হবে। বিষ্ময়কর বিষয় হলো, প্রতিদিন এই সাইট থেকে লক্ষ লক্ষ ডিজাইন ডাউনলোড হয়। শুরুটা হয়ত একটু কঠিন মনে হবে। তবে আপনি যদি কয়েকমাস সময় দিয়ে এই সাইটে ডিজাইন আপলোড করতে পারেন, তবে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে ফ্রিপিক আপনার জন্য দারুণ অপর্চুনিটি দেয়। টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট ।

(১০) সাটারস্টক থেকে ছবি আপলোড করে আয় করুনঃ

সাটারস্টক মূলত ছবি বেচা-কেনার একটি ওয়েবসাইট। আপনি যদি ফটোগ্রাফার হন তবে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য সাটারস্টক আপনাকে অনেক সুযোগ -সুবিধা প্রদান করবে। এই সাইটটি থেকেও বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ছবি ডাউনলোড হয়। সাটারস্টক প্রায় ফ্রিপিক এর মতই। তবে ফ্রিপিক হলো ডিজাইন রিলেটেড সাইট। আর সাটারস্টক হলো ফটোগ্রাফি রিলেটেড সাইট। সাটারস্টক এর ফটো বা ছবি গুলো বেশ ভালো দামে বিক্রয় হয়। আপনি যদি প্রকৃতির ছবি তুলতে ভালোবাসেন, তবে সাটারস্টক আপনার জন্য দারুণ ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দিচ্ছে। টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

আমাদের শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা, অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সেরা ওয়েবসাইট যদি খুঁজে থাকেন। আজ আমরা আপনাদের কিছু টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট এর নাম জানালাম। এই ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করে, আপনারা বিশ্বাসযোগ্যতার সাথে কাজ করতে পারবেন। যার মাধ্যমে, আপনারা অনলাইন থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার পর আপনার কাছে কেমন লাগলো, অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চাইলে, নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

1 thought on “টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট এর নাম জানুন ইনকাম করুন”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top