চট্টগ্রাম  থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায় ভাড়া ভ্রমন গাইড দেখুন

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত বান্দরবান জেলা, যেখানে প্রকৃতি তার সমস্ত সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে। পাহাড়, ঝর্ণা, নদী এবং উপজাতীয় সংস্কৃতির এক অসাধারণ মিশ্রণ বান্দরবানকে করেছে অনন্য। বান্দরবান একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য উপভোগ করতে আসেন। প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায় ভাড়া ও বান্দরবনের কিছু পর্যটন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আশাকরি আপনাদের একটু হলেও উপকারে আসবে। চলুন শুরু করা যাক। 

চট্টগ্রাম  থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায়ঃ

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবন যাওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানের পথ নিজেই একটি দৃষ্টিনন্দন অভিজ্ঞতা। রাস্তার দুই পাশে সবুজ পাহাড় এবং ছোট ছোট ঝর্ণার কুলকুল ধ্বনি যেকোনো ভ্রমণপিপাসুর হৃদয় ছুঁয়ে যায়। চাঁন্দের গাড়িতে করে পাহাড়ি রাস্তা পেরিয়ে যাওয়ার অনুভূতি যেন একটি অ্যাডভেঞ্চার।
বাসের মাধ্যমে চট্রগ্রাম থেকে বান্দরবান: চট্টগ্রাম শহরের “বদ্দারহাট বাস টার্মিনাল” থেকে বান্দরবানের বাস ছেড়ে যায়। বাসগুলো সাধারণত সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলাচল করে। প্রতিটি বাস প্রায় আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা অন্তর ছাড়ে।  নন-এসি বাসের ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা এবং এসি বাসের ভাড়া ৩০০-৪০০ টাকা। সময় লাগবে: প্রায় ২-৩ ঘণ্টা।
প্রাইভেট কার মাধ্যমে চট্রগ্রাম থেকে বান্দরবান: পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে গেলে প্রাইভেট গাড়ি একটি ভালো বিকল্প। রুট: চট্টগ্রাম থেকে কর্ণফুলী ব্রিজ পার হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ধরে বান্দরবান। সময়: প্রায় ২ ঘণ্টা।
লোকাল জীপ মাধ্যমে চট্রগ্রাম থেকে বান্দরবান: বদ্দারহাট থেকে স্থানীয় চাঁন্দের গাড়ি ভাড়া নিয়ে বান্দরবান যাওয়া সম্ভব। এটি একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হতে পারে।
মোটরসাইকেলের মাধ্যমে চট্রগ্রাম থেকে বান্দরবান:যারা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন, তারা মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হতে পারেন। চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানের রাস্তা মোটরসাইকেল ভ্রমণের জন্য একেবারে উপযুক্ত।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবন যাওয়ার বাসের সময়সূচীঃ

পূবালী এক্সপ্রেস: প্রতিদিন সকাল 6:00, 10:00, দুপুর 2:00, 4:00 এবং 8:00 টায়।
পূর্বানী এক্সপ্রেস: প্রতিদিন সকাল 7:00, 11:00, দুপুর 3:00, 5:00 এবং 9:00 টায়।
স্টার লাইন: প্রতিদিন সকাল 8:00, দুপুর 12:00, বিকাল 4:00 এবং রাত 8:00 টায়।
শ্যামলী পরিবহন: প্রতিদিন সকাল 9:00, দুপুর 1:00, বিকাল 5:00 এবং রাত 9:00 টায়।
এস আলম পরিবহন: প্রতিদিন সকাল 10:00, দুপুর 2:00, বিকাল 6:00 এবং রাত 10:00 টায়।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবন যাওয়ার ট্রেনের সময়সূচীঃ

চট্টগ্রাম-বান্দরবান মেইল: প্রতিদিন সকাল 6:00 টায় চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ে এবং সন্ধ্যা 6:00 টায় বান্দরবান পৌঁছায়। চট্টগ্রাম-বান্দরবান লোকাল: প্রতিদিন সকাল 8:00, দুপুর 12:00, বিকাল 4:00 এবং রাত 8:00 টায় চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ে এবং পরের দিন সকাল 6:00, দুপুর 10:00, বিকাল 2:00 এবং রাত 6:00 টায় বান্দরবান পৌঁছায়।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবন যাওয়ার ভাড়া

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবন যাওয়ার ভাড়া বিভিন্ন মাধ্যমের উপর নির্ভর করে।
ট্রেনঃ চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবন যাওয়ার জন্য ট্রেনের ভাড়া প্রায় 200 থেকে 500 টাকা।
বাসঃ চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবন যাওয়ার জন্য বাসের ভাড়া প্রায় 200 থেকে 300 টাকা।
গাড়িঃ চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবন যাওয়ার জন্য গাড়ির ভাড়া প্রায় 5000 থেকে 10000 টাকা।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবন যাওয়ার বাসের ভাড়া

পূবালী এক্সপ্রেস: 200 টাকা
পূর্বানী এক্সপ্রেস: 200 টাকা
স্টার লাইন: 250 টাকা
শ্যামলী পরিবহন: 250 টাকা
এস আলম পরিবহন: 250 টাকা
চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবন যাওয়ার ট্রেনের ভাড়া
চট্টগ্রাম-বান্দরবান মেইল: 200 টাকা
চট্টগ্রাম-বান্দরবান লোকাল: 100 টাকা

কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায়ঃ

কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যাওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। আপনি বিমান, ট্রেন, বাস বা গাড়িতে করে যেতে পারেন।
ট্রেনঃ কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যেতে আরেকটি উপায় হল ট্রেনে। কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে বান্দরবান রেলওয়ে স্টেশনের দূরত্ব প্রায় 350 কিলোমিটার। ট্রেনে ভ্রমণের সময় প্রায় 10 ঘন্টা। কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যাওয়ার জন্য আপনি চট্টগ্রামগামী ট্রেন ধরতে পারেন। চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানগামী লোকাল ট্রেন ধরে বান্দরবান যেতে পারেন।
বাসঃ কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যেতে সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হল বাস। কক্সবাজার থেকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন অনেক বাস চলাচল করে। বাসের ভাড়া প্রায় 500 টাকা থেকে 1000 টাকা। কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যাওয়ার জন্য আপনি সরাসরি বান্দরবনগামী বাস ধরতে পারেন। এছাড়াও, আপনি চট্টগ্রামগামী বাস ধরে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবনগামী বাস ধরে বান্দরবান যেতে পারেন।
গাড়িঃ আপনি যদি আপনার নিজের গাড়িতে করে কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রায় 400 কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। গাড়িতে ভ্রমণের সময় প্রায় 8 ঘন্টা। কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যাওয়ার জন্য আপনি কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে চট্টগ্রাম যেতে পারেন। চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানগামী মহাসড়ক ধরে বান্দরবান যেতে পারেন। আপনি যেভাবেই কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যেতে চান না কেন, আপনাকে অবশ্যই আগে থেকেই টিকিট বুকিং করে নিতে হবে। বিশেষ করে, ছুটির দিনে ট্রেন এবং বাসের টিকিট পাওয়া কঠিন হতে পারে।

কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যাওয়ার ভাড়া

কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যাওয়ার ভাড়া বিভিন্ন মাধ্যমের উপর নির্ভর করে।
ট্রেনঃ কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যাওয়ার জন্য ট্রেনের ভাড়া প্রায় 500 থেকে 1000 টাকা।
বাসঃ কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যাওয়ার জন্য বাসের ভাড়া প্রায় 500 থেকে 1000 টাকা।
গাড়িঃ কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যাওয়ার জন্য গাড়ির ভাড়া প্রায় 10000 থেকে 15000 টাকা।

কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যাওয়ার বাসের ভাড়াঃ

শ্যামলী পরিবহন: 500 টাকা
সৌদিয়া পরিবহন: 700 টাকা
গ্রিন লাইন পরিবহন: 600 টাকা
হানিফ পরিবহন: 700 টাকা
কক্সবাজার থেকে বান্দরবন যাওয়ার ট্রেনের ভাড়া
কালনী এক্সপ্রেস: 500 টাকা
সুবর্ণ এক্সপ্রেস: 700 টাকা

বান্দরবানের কিছু জনপ্রিয় পর্যটন স্থানঃ

বান্দরবান বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। এটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বন্যজীবন এবং আদিবাসী সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। বান্দরবানের কিছু জনপ্রিয় পর্যটন স্থানের মধ্যে রয়েছে:

  • নীলগিরি: বান্দরবান জেলার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ নীলগিরি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪,০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এটি তার মনোরম দৃশ্য এবং মেঘের দেশে পরিচিত।
  • শৈলপ্রপাত: বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শৈলপ্রপাত একটি সুন্দর জলপ্রপাত। এটি তার স্বচ্ছ জল এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত।
  • নাফাখুম: থানচি উপজেলার রেমাক্রিতে অবস্থিত নাফাখুম বাংলাদেশের বৃহত্তম জলপ্রপাত। এটি তার বিশাল জলপ্রবাহ এবং অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত।
  • আমিয়াখুম: থানচি উপজেলার রেমাক্রিতে অবস্থিত আমিয়াখুম একটি সুন্দর জলপ্রপাত। এটি তার মনোরম দৃশ্য এবং স্বচ্ছ জলের জন্য পরিচিত।
  • চিম্বুক: বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চিম্বুক একটি সুন্দর পাহাড়। এটি তার মনোরম দৃশ্য এবং মনোরম পরিবেশের জন্য পরিচিত।

 বান্দরবানে আরও অনেক জনপ্রিয় পর্যটন স্থান :

  • টাইগার পাড়া: বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত টাইগার পাড়া একটি ক্ষুদ্র আদিবাসী গ্রাম। এটি তার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত।
  • মিয়ানমার সীমান্ত: বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় মায়ানমার সীমান্ত অবস্থিত। এটি তার মনোরম দৃশ্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত।
  • রিছাং ঝর্ণা: বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রিছাং ঝর্ণা একটি সুন্দর জলপ্রপাত। এটি তার মনোরম দৃশ্য এবং স্বচ্ছ জলের জন্য পরিচিত।
  • বগালেক লেক: বান্দরবানের রুমা উপজেলায় অবস্থিত বগালেক লেক একটি সুন্দর হ্রদ। এটি তার মনোরম দৃশ্য এবং স্বচ্ছ জলের জন্য পরিচিত। বান্দরবান ভ্রমণের জন্য সেরা সময় হল মার্চ থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর। এই সময়ে আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত।

বান্দরবন ভ্রমণ প্ল্যানঃ

বান্দরবান বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। এটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বন্যজীবন এবং আদিবাসী সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। বান্দরবান ভ্রমণের জন্য একটি আদর্শ পরিকল্পনা হল:
প্রথম দিন:
সকালে: ঢাকা থেকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করুন।
বিকেলে: বান্দরবান পৌঁছে হোটেলে চেক ইন করুন।
সন্ধ্যায়: নীলগিরি বা চিম্বুক পাহাড়ে সূর্যাস্ত দেখুন।
দ্বিতীয় দিন:
সকালে: শৈলপ্রপাত বা রিছাং ঝর্ণা ভ্রমণ করুন।
বিকেলে: টাইগার পাড়া বা থানচি উপজেলার কোনও একটি আদিবাসী গ্রামে যান।
সন্ধ্যায়: বান্দরবান শহরের কোনও রেস্তোরাঁয় স্থানীয় খাবার উপভোগ করুন।
তৃতীয় দিন:
সকালে: নাফাখুম বা আমিয়াখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ করুন।
বিকেলে: বান্দরবান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করুন।
এই ভ্রমণ পরিকল্পনাটি আপনাকে বান্দরবানের কিছু জনপ্রিয় পর্যটন স্থান দেখতে দেবে। আপনি আপনার আগ্রহ এবং সময়ের উপর নির্ভর করে এই পরিকল্পনাটি পরিবর্তন করতে পারেন।

বান্দরবান ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস:

  • বান্দরবান ভ্রমণের জন্য সেরা সময় হল মার্চ থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর। এই সময়ে আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত।
  • বান্দরবানে ভ্রমণের জন্য একটি গাড়ি ভাড়া করা ভাল। এটি আপনাকে আরামদায়কভাবে এবং স্বাধীনভাবে পর্যটন স্থানগুলি ঘুরে দেখতে দেবে।
  • বান্দরবানের আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। বান্দরবান ভ্রমণ একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা হবে। এটি আপনাকে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বন্যজীবন এবং আদিবাসী সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে।

উপসংহারঃ

বান্দরবান ভ্রমণ প্রকৃতিপ্রেমী এবং অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় সবার জন্যই এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। পাহাড়, ঝর্ণা, নদী, এবং উপজাতীয় সংস্কৃতির একসঙ্গে মেলবন্ধন বান্দরবানকে করেছে অনন্য। এটি এমন একটি গন্তব্য যেখানে প্রকৃতির নিস্তব্ধতা এবং সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যাওয়া যায়। আপনার ভ্রমণ হোক স্মরণীয় এবং উপভোগ্য। পাঠক আশা করি চট্টগ্রাম  থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায়  আমাদের লেখা থেকে চট্টগ্রাম  থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায় জানতে পেরেছেন

4 thoughts on “চট্টগ্রাম  থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায় ভাড়া ভ্রমন গাইড দেখুন”

  1. Pingback: চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটি যাওয়ার উপায় জানুন

  2. Pingback: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রচনা (১০০০) শব্দের দেখুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top