অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে কতটি দেশ আছে? 

অস্ট্রেলিয়া বা ওশেনিয়া মহাদেশ হল পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাদেশ। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এটি প্রায় 10,000 দ্বীপ নিয়ে গঠিত। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বৃহত্তম দেশ হল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের ভূপ্রকৃতি বেশ বৈচিত্র্যময়। এর উত্তর-পূর্বে রয়েছে মালয় উপদ্বীপের মতো বনাঞ্চল, মধ্য অঞ্চলে রয়েছে বিস্তীর্ণ মরুভূমি, এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে পর্বতমালা। প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে কয়টি দেশ আছে? তাদের রাঝধানী ও মুদ্রা সাথে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সম্পর্কে জানবো। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে কতটি দেশ আছে? 

মহাদেশের সংজ্ঞার উপর নির্ভর করে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে 14 থেকে 16 টি দেশ রয়েছে। সাধারণভাবে ব্যবহৃত মহাদেশীয় মডেল অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে 14 টি দেশ রয়েছে। এই মডেলগুলিতে, অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, কিরিবাস, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, নাউরু, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা, টুভালু, এবং ভানুয়াটুকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্যান্য কিছু মহাদেশীয় মডেল অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে 15 টি দেশ রয়েছে। এই মডেলগুলিতে, ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম নিউ গিনি প্রদেশকেও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একইভাবে, আরও কিছু মহাদেশীয় মডেল অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে 16 টি দেশ রয়েছে। এই মডেলগুলিতে, পাপুয়া নিউ গিনিকেও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সুতরাং, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের কয়টি দেশ আছেvতা নির্ভর করে আপনি কোন মহাদেশীয় মডেলটি ব্যবহার করছেন তার উপর। সাধারণভাবে ব্যবহৃত মহাদেশীয় মডেল অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে কয়টি দেশ আছে? অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের দেশগুলোর নাম হল:

  • অস্ট্রেলিয়া
  • ফিজি
  • কিরিবাস
  • মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
  • নাউরু
  • নিউজিল্যান্ড
  • পাপুয়া নিউ গিনি
  • সামোয়া
  • সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
  • টোঙ্গা
  • টুভালু
  • ভানুয়াটু

অস্ট্রেলিয়া মহদেশের দেশগুলোর রাজধানী 

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের দেশসমূহ হল:

  • অস্ট্রেলিয়া, রাজধানী ক্যানবেরা
  • ফিজি, রাজধানী সুভা
  • কিরিবাস, রাজধানী তারাওয়া
  • মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, রাজধানী মাজুরো
  • নাউরু, রাজধানী নুরুর
  • নিউজিল্যান্ড, রাজধানী ওয়েলিংটন
  • পাপুয়া নিউ গিনি, রাজধানী পোর্ট মোরেসবি
  • সামোয়া, রাজধানী অ্যাপিয়া
  • সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, রাজধানী হোনিয়ারা
  • টোঙ্গা, রাজধানী নুবুইয়াটা
  • টুভালু, রাজধানী ফুয়া ফুয়া
  • ভানুয়াটু, রাজধানী পোর্ট ভিলা

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে স্বাধীন দেশ কয়টি? 

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে কয়টি দেশ আছে তার মধ্যে কতটি স্বাধীন রাষ্ট্র রয়েছে তা কিন্তু এখানে আলোচনা করা হয়েছে। মহাদেশের সংজ্ঞার উপর নির্ভর করে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে 14 থেকে 16 টি স্বাধীন দেশ রয়েছে। সাধারণভাবে ব্যবহৃত মহাদেশীয় মডেল অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে 14 টি স্বাধীন দেশ রয়েছে। এই মডেলগুলিতে, অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, কিরিবাস, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, নাউরু, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা, টুভালু, এবং ভানুয়াটুকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের স্বাধীন দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অন্যান্য কিছু মহাদেশীয় মডেল অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে 15 টি স্বাধীন দেশ রয়েছে। এই মডেলগুলিতে, ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম নিউ গিনি প্রদেশকেও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের স্বাধীন দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একইভাবে, আরও কিছু মহাদেশীয় মডেল অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে 16 টি স্বাধীন দেশ রয়েছে। এই মডেলগুলিতে, পাপুয়া নিউ গিনিকেও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের স্বাধীন দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সুতরাং, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে কতটি স্বাধীন দেশ রয়েছে তা নির্ভর করে আপনি কোন মহাদেশীয় মডেলটি ব্যবহার করছেন তার উপর। সাধারণভাবে ব্যবহৃত মহাদেশীয় মডেল অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের স্বাধীন দেশগুলোর নাম হল: অস্ট্রেলিয়া,ফিজি,কিরিবাস,মার্শালদ্বীপপুঞ্জ,নাউরু,নিউজিল্যান্ড,পাপুয়া নিউগিনি সামোয়া, সলোমন, দ্বীপপুঞ্জ,টোঙ্গা, টুভালু,ভানুয়াটু ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম নিউ গিনি প্রদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে বিবেচনা করলে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের স্বাধীন দেশগুলোর সংখ্যা হবে ১৫। পাপুয়া নিউ গিনিকেও স্বাধীন দেশ হিসেবে বিবেচনা করলে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের স্বাধীন দেশগুলোর সংখ্যা হবে ১৬।

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের কিছু উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক দৃশ্য হল:

  • গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ: বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর
  • Uluru: একটি বিশাল রঙিন পাথর
  • Tasmanian devil: একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ একটি আকর্ষণীয় ও বৈচিত্র্যময় স্থান। এটি পর্যটন, গবেষণা, এবং ব্যবসায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য।অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের জনসংখ্যা প্রায় 44.4 মিলিয়ন। জনসংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের 13তম জনবহুল মহাদেশ।
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের আয়তনঃ অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের আয়তন 90,000,000 বর্গ কিলোমিটার। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এটি প্রায় 10,000 দ্বীপ নিয়ে গঠিত। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বৃহত্তম দেশ হল অস্ট্রেলিয়া।অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ একটি আকর্ষণীয় ও বৈচিত্র্যময় স্থান। এটি পর্যটন, গবেষণা, এবং ব্যবসায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য।

অস্ট্রেলিয়া মহদেশে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র কয়টি?

২০২৩ সালের ২৮শে নভেম্বর পর্যন্ত, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ১৪। এগুলি হল:

  • অস্ট্রেলিয়া
  • ফিজি
  • কিরিবাস
  • মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
  • নাউরু
  • নিউজিল্যান্ড
  • পাপুয়া নিউ গিনি
  • সামোয়া
  • সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
  • টোঙ্গা
  • টুভালু
  • ভানুয়াটু

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম নিউ গিনি প্রদেশকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করলে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সংখ্যা হবে ১৫।পাপুয়া নিউ গিনিকেও জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করলে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সংখ্যা হবে ১৬।তবে, সাধারণভাবে ব্যবহৃত মহাদেশীয় মডেল অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে ১৪ টি স্বাধীন দেশ রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ টি দেশই জাতিসংঘের সদস্য।

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের মুদ্রা

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের মুদ্রাগুলিকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে:

  • অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মুদ্রা: অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড উভয়ই তাদের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহার করে, যা যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং নিউজিল্যান্ড ডলার। এই দুটি মুদ্রা বিশ্বের অন্যতম স্থিতিশীল মুদ্রা।
  • ইউরো ব্যবহারকারী দেশসমূহ: ফিজি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, ভানুয়াটু, এবং কিরিবাস ইউরো ব্যবহার করে।
  • অন্যান্য মুদ্রা: অন্যান্য ওশেনিয়া দেশগুলির নিজস্ব মুদ্রা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
    • মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ: মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের মুদ্রা হল মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কওয়াজার।
    • নাউরু: নাউরু-এর মুদ্রা হল নাউরুয়ান ডলার।
    • পাপুয়া নিউ গিনি: পাপুয়া নিউ গিনি-এর মুদ্রা হল পাপুয়া নিউ গিনি কিনা।
    • টোঙ্গা: টোঙ্গা-এর মুদ্রা হল পানগা।
    • টুভালু: টুভালু-এর মুদ্রা হল টুভালুন ডলার।

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের মুদ্রাগুলির বিস্তারিত:

দেশ মুদ্রা
অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়ান ডলার
নিউজিল্যান্ড নিউজিল্যান্ড ডলার
ফিজি ফিজিন ডলার
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ডলার
ভানুয়াটু ভানুয়াটু ভাতু
কিরিবাস কিরিবাসের কওয়াজার
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কওয়াজার
নাউরু নাউরুয়ান ডলার
পাপুয়া নিউ গিনি পাপুয়া নিউ গিনি কিনা
টোঙ্গা পানগা
টুভালু টুভালুন ডলার

অস্ট্রেলিয়াঃ অস্ট্রেলিয়া বা কমন‌ওয়েলথ অফ অস্ট্রেলিয়া হলো ওশেনিয়া মহাদেশের একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। ওশেনিয়া মহাদেশের মূল ভূখণ্ড ও তাসমানিয়াসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গঠিত হয়েছে। দেশটির মোট আয়তন ৭৬, ১৭, ৯৩০ বর্গ কি.মি. । আয়তনের দিক থেকে এটি ওশেনিয়ার সর্ব বৃহ‌ৎ রাষ্ট্র ও পৃথিবীর ৬ষ্ঠ বৃহত্তম রাষ্ট্র। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা। দেশটির অন্যান্য প্রধান শহরগুলি হল সিডনি, মেলবোর্ন, ব্রিসবেন, পার্থে, অ্যাডিলেড। অস্ট্রেলিয়া একটি উন্নত দেশ। দেশটির অর্থনীতি বিশ্বের ১৩তম বৃহত্তম। অস্ট্রেলিয়া একটি গণতান্ত্রিক দেশ। দেশটির সরকারের প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী।

অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা ২৫.৬৯ মিলিয়ন (২০২১)। জনসংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের ৫৫তম জনবহুল দেশ। দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ৬০% শহরাঞ্চলে বসবাস করে। অস্ট্রেলিয়ার সরকারি ভাষা ইংরেজি। দেশটির অন্যান্য ভাষাগুলি হল অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী ভাষা, মালয় ভাষা, চীনা ভাষা, ইত্যাদি। অস্ট্রেলিয়া একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত দেশ। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে সুন্দর সমুদ্র সৈকত, বনভূমি, মরুভূমি, ইত্যাদি। অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির প্রধান খাতগুলি হল পর্যটন, কৃষি, খনিজ সম্পদ, ইত্যাদি। অস্ট্রেলিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক রাষ্ট্র। দেশটি জাতিসংঘ, কমন‌ওয়েলথ অব নেশনস, ওশেনিয়া ফোরাম, ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য।
অস্ট্রেলিয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য পর্যটন আকর্ষণ হল:

  • সিডনি অপার হাউস
  • মেলবোর্ন রয়্যাল বোটানিক গার্ডেন
  • গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ
  • Uluru
  • tasmanian devil অস্ট্রেলিয়া একটি সুন্দর ও উন্নত দেশ। দেশটি পর্যটন, ব্যবসা, শিক্ষা, ইত্যাদি ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য।

নিউজিল্যান্ডঃ নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র এবং মানচিত্রে এটি মহাদেশীয় রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি অবস্থিত বলে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ২০০০ কিমি দূরত্বে তাসমান সাগরে অবস্থিত।
নিউজিল্যান্ডের ভূগোলঃ নিউজিল্যান্ড দুটি প্রধান দ্বীপ নিয়ে গঠিত, দক্ষিণ দ্বীপ এবং উত্তর দ্বীপ। দক্ষিণ দ্বীপটি বৃহত্তর এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব কম। উত্তর দ্বীপটি ছোট এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ডে আরও বেশ কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের ভূপ্রকৃতি বেশ বৈচিত্র্যময়। দক্ষিণ দ্বীপে রয়েছে পর্বতমালা, হ্রদ, এবং বরফের ক্ষেত্র। উত্তর দ্বীপে রয়েছে বন, সমতলভূমি, এবং উপকূলীয় এলাকা।
নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়াঃ নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া প্রধানত নাতিশীতোষ্ণ। দক্ষিণ দ্বীপে আবহাওয়া শীতল এবং আর্দ্র। উত্তর দ্বীপে আবহাওয়া গরম এবং আর্দ্র।
নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যাঃ নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা প্রায় ৫.১ মিলিয়ন। জনসংখ্যার প্রায় ৭৩% ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত। ১৩% আদিবাসী মাওরি। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ডে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা বাস করে।
নিউজিল্যান্ডের সরকারঃ নিউজিল্যান্ড একটি সংসদীয় গণতন্ত্র। সরকারের প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী।
নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতিঃ নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি মূলত কৃষি, পর্যটন, এবং শিল্পের উপর নির্ভরশীল। কৃষি খাতে পশুপালন, দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন, এবং ফলমূল উৎপাদন উল্লেখযোগ্য। পর্যটন খাত নিউজিল্যান্ডের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প। শিল্প খাতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, কাগজ শিল্প, এবং রাসায়নিক শিল্প উল্লেখযোগ্য।
নিউজিল্যান্ডের সংস্কৃতিঃ নিউজিল্যান্ডের সংস্কৃতি ইউরোপীয় এবং মাওরি সংস্কৃতির মিশ্রণ। ইউরোপীয় সংস্কৃতির প্রভাব বেশি দেখা যায়। মাওরি সংস্কৃতির প্রভাব দেখা যায়, বিশেষ করে ভাষা, সঙ্গীত, এবং শিল্পে।
নিউজিল্যান্ডের পর্যটনঃ নিউজিল্যান্ড একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আদিবাসী সংস্কৃতি, এবং ক্রীড়া কার্যক্রম পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

নিউজিল্যান্ডের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

  • জর্জ সামার্স: অর্থনীতিবিদ, নোবেল বিজয়ী
  • বিল ব্রাউনি: ক্রিকেটার, টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক
  • জ্যাক ল্যাঙ্কাস্টার: ক্রিকেটার, টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক
  • লোরেন হিল: অভিনেত্রী, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী
  • পিটার জ্যাকসন: চলচ্চিত্র নির্মাতা, তিনটি অস্কার বিজয়ী

নিউজিল্যান্ডের উল্লেখযোগ্য স্থান

  • মাউংটান কুক: দক্ষিণ দ্বীপের সর্বোচ্চ পর্বত
  • তে-আহু পাউনুয়ি: মাওরি সংস্কৃতির কেন্দ্র
  • রোটোরুয়া: হট স্প্রিংস এবং আগ্নেয়গিরি জন্য বিখ্যাত
  • ওয়েলিংটন: নিউজিল্যান্ডের রাজধানী
  • অকল্যান্ড: নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম শহর

মন্তব্যঃ

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে কয়টি দেশ আছে পাঠক এরই মধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন আশা করি। এছড়াও আমাদের এই লেখা থেকে আরও কিছু তথ্য পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের জলবায়ুও বৈচিত্র্যময়। উত্তর-পূর্বে ক্রান্তীয় জলবায়ু, মধ্য অঞ্চলে শুষ্ক জলবায়ু, এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু বিরাজ করে।অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের জীববৈচিত্র্যও বেশ সমৃদ্ধ। এখানে বিশ্বের অন্য কোথাও দেখা যায় না এমন অনেক ধরনের প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top