ইউরোপ একটি মহাদেশ যা বৃহত্তর ইউরেশিয়া মহাদেশীয় ভূখণ্ডের পশ্চিমের উপদ্বীপটি নিয়ে গঠিত। সাধারণভাবে ইউরাল ও ককেশাস পর্বতমালা, ইউরাল নদী, কাস্পিয়ান এবং কৃষ্ণ সাগর-এর জলবিভাজিকা এবং কৃষ্ণ ও এজিয়ান সাগর সংযোগকারী জলপথ ইউরোপকে এশিয়া মহাদেশ থেকে পৃথক করেছে। ইউরোপ মহাদেশে কয়টি দেশ আছে তা আজকে জানবো। এই মহাদেশে ৫০ টি দেশ রয়েছে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য পুরো আরর্টিকেলটি পড়েন।
ইউরোপ একটি বৈচিত্র্যময় মহাদেশ যা তার প্রাকৃতিক দৃশ্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য বিখ্যাত। ইউরোপে রয়েছে সুউচ্চ পর্বতমালা, সবুজ বন, বিস্তৃত সমভূমি, এবং মনোরম উপকূলরেখা। ইউরোপের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময়, যার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন গ্রীক এবং রোমান সভ্যতা, মধ্যযুগীয় ইউরোপ, এবং আধুনিক ইউরোপ। ইউরোপের রাজনৈতিক ব্যবস্থা মূলত গণতন্ত্রের উপর ভিত্তি করে, তবে কিছু দেশে রাজতন্ত্রও রয়েছে। প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে আমরা ইউরোপ মহাদেশ নিয়ে আলোচনা করবো। ইউরোপ মহাদেশে কয়টি দেশ আছে , সে দেশ গুলোর রাজধানী, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশাকরি আপনাদের ভাল লাগবে।
ইউরোপ মহাদেশে কয়টি দেশ আছে?
ইউরোপ মহাদেশে কয়টি দেশ আসে তা নির্ভর করে ইউরোপের সংজ্ঞা কীভাবে নেওয়া হয় তার উপর। যদি ইউরোপকে ভৌগোলিকভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, তাহলে ইউরোপ মহাদেশে কয়টি দেশ আছে তা হলো এতে ৫০টি দেশ রয়েছে। এই সংজ্ঞা অনুসারে, ইউরোপের সীমানা হল উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর, পূর্বে ইউরাল পর্বতমালা, দক্ষিণে কৃষ্ণ সাগর এবং ভূমধ্যসাগর, এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর। যদি ইউরোপকে সাংস্কৃতিকভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, তাহলে ইউরোপ মহাদেশে ৪৪টি দেশ রয়েছে। এই সংজ্ঞা অনুসারে, ইউরোপের সীমানা হল উত্তরে উত্তর মহাসাগর, পূর্বে ইউরাল পর্বতমালা, দক্ষিণে কৃষ্ণ সাগর এবং ভূমধ্যসাগর, এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর। তবে, এই সংজ্ঞায় তুরস্ক, সাইবেরিয়ার কিছু অংশ এবং কিছু দ্বীপপুঞ্জকে ইউরোপের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয় না।ইউরোপ মহাদেশে কয়টি দেশ আছে । সকল ইউরোপ মহাদেশের নাম জানুন এখানে
ইউরোপ মহাদেশের আয়তন কত?
ইউরোপ মহাদেশের আয়তন প্রায় ১,০১,৮০,০০০ বর্গকিলোমিটার (৩৯,৩০,০০০ মা)। এটি ভূপৃষ্ঠের দ্বারা বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম মহাদেশ। ইউরোপের উত্তরে উত্তর মহাসাগর, পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর এবং দক্ষিণ-পূর্বে কৃষ্ণ সাগর ও সংযুক্ত জলপথ রয়েছে। ইউরোপের আয়তন বিভিন্ন সূত্র অনুসারে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপের সীমানা নির্ধারণে ককেসাস পর্বতমালার অবস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু সূত্র অনুসারে, ককেসাস পর্বতমালা ইউরোপ ও এশিয়ার সীমানা হিসেবে বিবেচিত হয়, অন্যদিকে কিছু সূত্র অনুসারে, এটি ইউরোপের অন্তর্গত। ককেসাস পর্বতমালা ইউরোপের অন্তর্গত বলে ধরে নিলে, ইউরোপের আয়তন হবে প্রায় ১,০৬,৩০,০০০ বর্গকিলোমিটার (৪১,০০,০০০ মা)।
ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলোর নামঃ এখানে ইউরোপ মহাদেশের ৫০টি দেশের একটি তালিকা দেওয়া হল:
- আজারবাইজান
- আল্পস
- আ্যান্ডোর্রা
- অস্ট্রিয়া
- বেলারুশ
- বেলজিয়াম
- বুলগেরিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
- সাইপ্রাস
- চেক প্রজাতন্ত্র
- ডেনমার্ক
- এস্তোনিয়া
- ফিনল্যান্ড
- ফ্রান্স
- জার্মানি
- গ্রীস
- হাঙ্গেরি
- আইসল্যান্ড
- আয়ারল্যান্ড
- ইতালি
- লাতভিয়া
- লিথুয়ানিয়া
- লিচেনস্টেইন
- লুক্সেমbourg
- ম্যাসেডোনিয়া
- মলদোভা
- মোনাকো
- মোল্দাভিয়া
- নেদারল্যান্ড
- নরওয়ে
- পোল্যান্ড
- পর্তুগাল
- রোমানিয়া
- রাশিয়া
- সার্বিয়ার
- স্লোভাকিয়া
- স্লোভেনিয়া
- স্পেন
- সুইডেন
- সুইজারল্যান্ড
এখানে ইউরোপ মহাদেশের ৪৪টি দেশের একটি তালিকা দেওয়া হল:
- আজারবাইজান
- আল্পস
- আ্যান্ডোর্রা
- অস্ট্রিয়া
- বেলারুশ
- বেলজিয়াম
- বুলগেরিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
- সাইপ্রাস
- চেক প্রজাতন্ত্র
- ডেনমার্ক
- এস্তোনিয়া
- ফিনল্যান্ড
- ফ্রান্স
- জার্মানি
- গ্রীস
- হাঙ্গেরি
- আইসল্যান্ড
- আয়ারল্যান্ড
- ইতালি
- লাতভিয়া
- লিথুয়ানিয়া
- লিচেনস্টেইন
- লুক্সেমbourg
- ম্যাসেডোনিয়া
- মলদোভা
- মোনাকো
- মোল্দাভিয়া
- নেদারল্যান্ড
- নরওয়ে
- পোল্যান্ড
- পর্তুগাল
- রোমানিয়া
- সার্বিয়ার
- স্লোভাকিয়া
- স্লোভেনিয়া
- স্পেন
- সুইডেন
আপনি কোন সংজ্ঞাটি ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করে, ইউরোপ মহাদেশে ৫০টি বা ৪৪টি দেশ রয়েছে।
ইউরোপের দেশ গুলোর রাজধানীর নামঃ
পাঠক এই অংশে আমরা ইউরোপ মহাদেশের রাজধানী ও তাদের নাম সহ আলোচনা করেছি। নিচে ইউরোপের দেশগুলির রাজধানীর নাম ও দেশের একটি তালিকা দেয়া হলো:
দেশ – রাজধানী
আজারবাইজান – বাকু
আয়ারল্যান্ড – ডাবলিনে
আন্দোর্রা – এনডোর্রা লা ভেল্লা
অ্যালবেনিয়া – তিরানা
অ্যান্ডোরা – এনডোর্রা লা ভেল্লা
অস্ট্রিয়া – ভিয়েনা
বেলারুশ – মিনস্ক
বেলজিয়াম – ব্রাসেলস
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা – সারায়েভো
বুলগেরিয়া – সোফিয়া
বাহরাইন – মানাম
ক্রোয়েশিয়া – জাগরেব
সাইপ্রাস – নিকোসিয়া
চেক প্রজাতন্ত্র – প্রাগ
ডেনমার্ক – কোপেনহেগেন
এস্তোনিয়া – তাল্লিন
ফিনল্যান্ড – হেলসিঙ্কি
ফ্রান্স – প্যারিস
জর্জিয়া – তিবলিসি
জার্মানি – বার্লিগ্রীস – এথেন্স
হাঙ্গেরি – বুদাপেস্ট
আইসল্যান্ড – রিকজাভিক
ইতালি – রোম
কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ – জর্জটাউন
কিরগিজস্তান – বিশকেক
লাটভিয়া – রিগা
লিথুয়ানিয়া – ভিলনিয়াস
লিচেনস্টেইন – ভ্যাদুজ্
লাক্সেমবার্গ – লাক্সেমবার্গ
ম্যাসাদোনিয়িয়া – স্কোপজে
মাল্টা – ভ্যালেটা
মলদোভা – চিসিনাউ
মন্টিনিগ্রো – পোডগোরিকো
নেদারল্যান্ডস – আমস্টারডাম
নরওয়ে – অসলো
পোল্যান্ড – ওয়ারশো
পর্তুগাল – লিসবন, ইউরোপ মহাদেশে কয়টি দেশ আছে
ইউরোপ মহাদেশের স্বাধীন দেশ কয়টি?
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ৫০টি স্বাধীন দেশ রয়েছে। এগুলিকে নিম্নরূপে তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে:
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলি: অস্ট্রি, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মান, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয় এমন স্বাধীন দেশগুলি: আজারবাইজান, আনাতোলিয়ার, আন্দোর্রা, বেলারুশ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বাহরাইন, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জর্জিয়া, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লিচেনস্টেইন, লাক্সেমবার্গ, ম্যাসাদোনিয়িয়া, মাল্টা, মলদোভা, মন্টিনিগ্রো, মরোক্কো, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, প্যারাগুয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রাশিয়া, সার্বিয়ার, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, ইউক্রেন। কিছু দেশ রয়েছে যাকে ইউরোপীয় দেশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তবে তারা স্বাধীন নয়। এই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে:
একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল: দ্য অ্যাল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, ফ্যারও দ্বীপপুঞ্জ, জিব্রাল্টার, গুয়ের্নসি, জার্সি, মেন দ্বীপ।
একটি স্বশাসিত দেশীয় এলাকা: আজারবাইজানের নাখচিভান, রাশিয়ার আবখাজিয়া, দক্ষিণ ওসেটিয়া, ট্রান্সনিস্ট্রিয়া।
সেনজেনভুক্ত দেশগুলোর নামঃ
সেনজেন হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৬টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ভ্রমণের জন্য সাধারণ ভিসা এবং পাসপোর্ট নিয়ম প্রদান করে। সেনজেন চুক্তি ১৯৮৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং ১৯৯৫ সালে কার্যকর হয়েছিল।
সেনজেনভুক্ত দেশগুলি হলো: অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম,চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া,ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস,হাঙ্গেরি,আইসল্যান্ড,ইতালি, ল্যাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড,পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, এবং সুইডেন।
সেনজেনভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ভ্রমণকারীদের ভিসা এবং পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় না। তারা সেনজেন অঞ্চলের মধ্যে অবাধে ভ্রমণ করতে পারে। সেনজেন অঞ্চলটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে অবস্থিত। তবে, সেনজেনভুক্ত সমস্ত দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়। উদাহরণস্বরূপ, আইসল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়, তবে তারা সেনজেন চুক্তির সদস্য। সেনজেন চুক্তিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে ভ্রমণকে সহজতর করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি ব্যবসা এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করেছে।
সেনজেন চুক্তি কি?
সেনজেন চুক্তি হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৬টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ভ্রমণের জন্য সাধারণ ভিসা এবং পাসপোর্ট নিয়ম প্রদান করে। সেনজেন চুক্তি ১৯৮৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং ১৯৯৫ সালে কার্যকর হয়েছিল। সেনজেন চুক্তির মূল নীতি হলো, সেনজেনভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ভ্রমণকারীদের ভিসা এবং পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় না। তারা সেনজেন অঞ্চলের মধ্যে অবাধে ভ্রমণ করতে পারে। সেনজেন চুক্তির অন্যান্য নীতিগুলির মধ্যে রয়েছে:
- সেনজেনভুক্ত দেশগুলির মধ্যে পুলিশ এবং সীমান্ত রক্ষী সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো।
- সেনজেনভুক্ত দেশগুলির মধ্যে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা।
- সেনজেনভুক্ত দেশগুলির মধ্যে অপরাধ দমন জোরদার করা।
সেনজেন চুক্তিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে ভ্রমণকে সহজতর করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি ব্যবসা এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করেছে। সেনজেন চুক্তির কিছু সমালোচনাও রয়েছে। কিছু সমালোচক মনে করেন যে এটি অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদের বিস্তারকে সহজতর করতে পারে। অন্যরা মনে করেন যে এটি জাতীয় সার্বভৌমত্বের উপর হুমকি। যাইহোক, সেনজেন চুক্তিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে ভ্রমণের জন্য একটি সাফল্য হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির মধ্যে যোগাযোগ এবং সহযোগিতা উন্নত করতে সাহায্য করেছে।
ইউরোপের নন সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকাঃ ইউরোপের নন-সেনজেনভুক্ত দেশগুলির তালিকা হল:
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি:
- আয়ারল্যান্ড
- বুলগেরিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
- সাইপ্রাস
- রোমানিয়া
- তুরস্ক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ–সদস্য দেশগুলি:
- আজারবাইজান
- বেলারুশ
- বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
- মলদোভা
- রাশিয়া
- সার্বিয়ার পশ্চিম ব্যানাট অঞ্চল
- ইউক্রেন
- যুক্তরাজ্য
সেনজেনভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ভ্রমণকারীদের ভিসার প্রয়োজন হয় না। তবে, নন-সেনজেনভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ভ্রমণকারীদের ভিসা প্রয়োজন হতে পারে। ভিসা প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে ভ্রমণকারীর জাতীয়তা, ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং ভ্রমণের সময়কালের উপর।
ইউরোপের স্বাধীন রাষ্ট্র কিন্তু জাতি সংঘের সদস্য নয়ঃ ইউরোপের স্বাধীন রাষ্ট্র কিন্তু জাতি সংঘের সদস্য নয় এমন কয়েকটি দেশ হল:
ভ্যাটিকান সিটি: এটি একটি ধর্মীয় রাষ্ট্র যা ইতালির রোমে অবস্থিত।
সান মারিনো: এটি ইতালির দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র দেশ।
মন্টিনিগ্রো: এটি বলকান উপদ্বীপে অবস্থিত একটি দেশ।
কোসোভো: এটি বলকান উপদ্বীপে অবস্থিত একটি দেশ যা জাতিসংঘের সদস্য নয়, তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।
উত্তর সাইপ্রাস: সাইপ্রাসের তুর্কি নিয়ন্ত্রিত উত্তর অংশ।
জার্মানির চারটি শহর–রাজ্য: ব্রেমেন, হামবুর্গ, বার্লিন এবং ফ্রাঙ্কফুর্ট।
এই দেশগুলি জাতিসংঘের সদস্য নয় কারণ তারা বিভিন্ন কারণের জন্য সদস্যপদ অর্জন করতে পারছে না। ভ্যাটিকান সিটি একটি ধর্মীয় রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের সদস্যপদ একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। সান মারিনো এবং মন্টিনিগ্রো ছোট দেশ এবং তারা জাতিসংঘের সদস্যপদ অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ এবং সম্পদ রাখে না। কোসোভো একটি স্বীকৃত রাষ্ট্র নয় এবং জাতিসংঘের সদস্যপদ অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন পাচ্ছে না। জার্মানির চারটি শহর-রাজ্য জাতিসংঘের সদস্য নয় কারণ তারা জার্মান ফেডারেল প্রজাতন্ত্রের অংশ।
ইউরোপ মহাদেশের মুসলিম দেশগুলোর নামঃ
ইউরোপ মহাদেশে মোট ৭টি মুসলিম দেশ রয়েছে। এগুলো হল:আজারবাইজান, আলবেনিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা,কসোভো,গ্রীস,মাল্টা তুরস্ক। এই দেশগুলোর মধ্যে, তুরস্কই সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ। তুরস্কের জনসংখ্যার ৯৯% মুসলিম। অন্যদিকে, গ্রীস হল এই তালিকায় সবচেয়ে ছোট মুসলিম দেশ। গ্রীসের জনসংখ্যার মাত্র ১০% মুসলিম। ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান। ২০২২ সালে, ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২৫ মিলিয়ন বলে অনুমান করা হয়। এটি ইউরোপের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪%। ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- অভিবাসন: ইউরোপের অনেক দেশে মুসলিম অভিবাসীদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা রয়েছে।
- জন্মহার: মুসলিমদের জন্মহার ইউরোপের অন্যান্য গোষ্ঠীর তুলনায় বেশি।
- ধর্মান্তরণ: কিছু ইউরোপীয় খ্রিস্টান ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হচ্ছেন। ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধি ইউরোপের সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিবেশে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
ইউরোপের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকাঃ
ইউরোপের ১ ইউরো বাংলাদেশের প্রায় ১২০.২৯ টাকা। ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বরের হিসাবে, ১ ইউরো = ১২০.২৯ বাংলাদেশী টাকা। ইউরোপের মুদ্রা ইউরো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ইউরো প্রচলিত। ইউরোপের ১ ইউরো সমান ১০০ সেন্ট।বাংলাদেশের মুদ্রা টাকা। বাংলাদেশের বাজারে ইউরো বিনিময় করা হয়।
ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকেঃ
ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় ফ্রান্স-কে। ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ল্যোয়ার নদীর উপত্যকা এবং চ্যাম্পেন অঞ্চল প্রচুর পরিমাণে গম উৎপাদন করে। ফ্রান্স বিশ্বের বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে একটি। ফ্রান্সের উৎপাদিত গমের বেশিরভাগ অংশই দেশীয়ভাবে ব্যবহৃত হয়, তবে কিছু অংশ রপ্তানিও করা হয়। ফ্রান্সের গম উৎপাদনের ইতিহাস দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। রোমানদের সময় থেকেই ফ্রান্সে গম চাষ হয়ে আসছে। মধ্যযুগে ফ্রান্স ইউরোপের প্রধান গম উৎপাদনকারী দেশ ছিল। আজও ফ্রান্স ইউরোপের অন্যতম প্রধান গম উৎপাদনকারী দেশ।
ফ্রান্সের গম উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত জলবায়ু এবং মাটি রয়েছে। ল্যোয়ার নদীর উপত্যকা এবং চ্যাম্পেন অঞ্চল উভয়ই উর্বর মাটির সমৃদ্ধ অঞ্চল। এই অঞ্চলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়, যা গম চাষের জন্য আদর্শ। ফ্রান্সের গম উৎপাদন খাদ্য শিল্প এবং পশুপালন খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রান্সের অনেক বিখ্যাত ব্রেড, পাস্তা এবং অন্যান্য খাবার ফ্রেঞ্চ গম দিয়ে তৈরি করা হয়। ফ্রেঞ্চ গম পশুপালন খাতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রেঞ্চ গম থেকে তৈরি খাবার পশুদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে কাজ করে।ইউরোপ মহাদেশে কয়টি দেশ আছে
আমাদের শেষ কথাঃ
ইউরোপ মহাদেশ হল একটি বৈচিত্র্যময় মহাদেশ, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষা, এবং ধর্ম। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস এবং সংস্কৃতি সম্পন্ন দেশ, যেমন গ্রীস এবং ইতালি; শিল্প এবং ফ্যাশনের জন্য বিখ্যাত দেশ, যেমন ফ্রান্স এবং ইতালি; এবং প্রযুক্তি এবং ব্যবসার জন্য নেতৃস্থানীয় দেশ, যেমন জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ড। ইউরোপ মহাদেশের ভবিষ্যত উজ্জ্বল বলে মনে হচ্ছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অনেক উদীয়মান অর্থনীতি এবং অনেক প্রতিভাবান জনসংখ্যা। ইউরোপ মহাদেশ বিশ্বের অন্যতম শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ মহাদেশ হতে পারে। পাঠক এই লেখা থেকে আপনি সহজেই জানতে পেরেছেন ইউরোপ মহাদেশে কয়টি দেশ আছে , সেই সাথে ইউরোপ মহাদেশের আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য।