হিমছড়ি পাহাড় বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার উপায় নিয়ে আজকে আলোচনা করবো। এটি কক্সবাজার শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হিমছড়ির প্রধান আকর্ষণ হল এর সুন্দর সমুদ্র সৈকত এবং সবুজ পাহাড়ের সারি। প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হিমছড়ি পাহাড় ও এর অবস্থান, প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থান, হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান, ঝর্না ইত্যাদি সমন্ধে জানবো।
কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ারঃ
হিমছড়ি পাহাড় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি পাহাড়। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার উপায় হলো অটো রিক্সা এবং চান্দের গাড়ি, সিএনজি। কক্সবাজার থেকে এর দুরত্ব ৬ কিলোমিটার। হিমছড়ি পাহাড়টি তার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। হিমছড়ি পাহাড়ের চূড়া থেকে কক্সবাজার শহরের বিস্তীর্ণ এলাকার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। হিমছড়ি পাহাড়টি একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। পাহাড়ের চূড়ায় একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে যা থেকে কক্সবাজার শহরের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করা যায়। পাহাড়ের পাদদেশে একটি জলপ্রপাত রয়েছে যা বর্ষাকালে খুবই সুন্দর হয়।
হিমছড়ি কোথায় অবস্থিত?
হিমছড়ি পাহাড় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। কক্সবাজার শহর থেকে এটি ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হিমছড়ির অবস্থান হলো ২১°২০′৫৮″ উত্তর ৯২°০২′২৪″ পূর্ব। হিমছড়ি একটি সমুদ্র সৈকত এবং পাহাড়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি পর্যটন স্থান। এখানকার সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত এবং সবুজ পাহাড়ের সারি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। হিমছড়িতে একটি জলপ্রপাতও রয়েছে যা এখানকার একটি অন্যতম আকর্ষণ। হিমছড়ি যাওয়ার জন্য কক্সবাজার শহর থেকে বাস, টেক্সি বা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাওয়া যায়। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ির দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। হিমছড়িতে থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল এবং রিসোর্ট রয়েছে।
হিমছড়ি পাহাড়ের উচ্চতাঃ
হিমছড়ি পাহাড় এর উচ্চতা প্রায় ৩০০ ফুট (৯১ মিটার)। পাহাড়টি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। পাহাড়ের চূড়া থেকে কক্সবাজার শহরের বিস্তীর্ণ এলাকার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। হিমছড়ি পাহাড়টি একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। পাহাড়ের চূড়ায় একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে যা থেকে কক্সবাজার শহরের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করা যায়। পাহাড়ের পাদদেশে একটি জলপ্রপাত রয়েছে যা বর্ষাকালে খুবই সুন্দর হয়। হিমছড়ি পাহাড়ে যাওয়ার জন্য কক্সবাজার শহর থেকে বাস, টেক্সি বা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাওয়া যায়। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ির দূরত্ব ১২ কিলোমিটার।
হিমছড়িতে দর্শনীয় স্থানঃ
হিমছড়ি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। এটি কক্সবাজার শহর থেকে 12 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হিমছড়ির প্রধান আকর্ষণ হল এর সুন্দর সমুদ্র সৈকত এবং সবুজ পাহাড়ের সারি। হিমছড়িতে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
হিমছড়ি সমুদ্র সৈকত: হিমছড়ির সবচেয়ে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হল এর সমুদ্র সৈকত। এই সৈকতটি তার সাদা বালি এবং স্বচ্ছ জলের জন্য বিখ্যাত।
হিমছড়ি পাহাড়: হিমছড়ি পাহাড়টি তার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। পাহাড়ের চূড়া থেকে সমুদ্রের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
হিমছড়ি ঝর্ণা: হিমছড়ি ঝর্ণাটি একটি ছোট্ট ঝর্ণা যা বর্ষাকালে খুবই সুন্দর হয়।
হিমছড়ি ইকোপার্ক: হিমছড়ি ইকোপার্কটি একটি ছোট্ট বন যা বিভিন্ন ধরনের গাছপালা এবং প্রাণীর আবাসস্থল। হিমছড়ি একটি দুর্দান্ত জায়গা যা প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য। এখানে আপনি সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, ঝর্ণা এবং ইকোপার্কের মতো বিভিন্ন ধরনের দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
হিমছড়ি ঝর্ণাঃ
হিমছড়ি ঝর্ণা বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার হিমছড়ি ইকোপার্কে অবস্থিত একটি ছোট্ট ঝর্ণা। ঝর্ণাটি ৪০ ফুট উঁচু এবং এর জলপ্রবাহ খুবই মনোরম। ঝর্ণাটি বর্ষাকালে খুবই সুন্দর হয়। ঝর্ণার চারপাশের সবুজ পাহাড়ের সাথে ঝর্ণার জলপ্রবাহ একটি অপূর্ব দৃশ্য তৈরি করে। কক্সবাজার থেকে নাজিরারটেক যাওয়ার উপায় দেখতে ক্লিক করুন।
হিমছড়ি ঝর্ণাটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। ঝর্ণাটি দেখতে প্রতিদিন অনেক পর্যটক এখানে আসেন। ঝর্ণাটি দেখতে কক্সবাজার শহর থেকে বাস, টেক্সি বা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাওয়া যায়। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি ইকোপার্কের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার।
হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানঃ
হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার হিমছড়িতে অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। উদ্যানটি ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ১৭২৯ হেক্টর (১৭.২৯ বর্গ কিলোমিটার) জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গবেষণা ও শিক্ষণ, পর্যটন ও বিনোদন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা এবং প্রাণী রয়েছে। উদ্যানে প্রায় ৫৮ প্রজাতির বৃক্ষ, ১৫ প্রজাতির গুল্ম, ৪ প্রজাতির তৃণ, ১৯ প্রজাতির লতা এবং ২১ প্রজাতির ভেষজ উদ্ভিদ রয়েছে। উদ্যানে প্রায় ৫৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২৮৬ প্রজাতির পাখি, ৫৬ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১৬ প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। উদ্যানে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
হিমছড়ি সমুদ্র সৈকত: হিমছড়ির সবচেয়ে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হল এর সমুদ্র সৈকত। এই সৈকতটি তার সাদা বালি এবং স্বচ্ছ জলের জন্য বিখ্যাত।
হিমছড়ি পাহাড়: হিমছড়ি পাহাড়টি তার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। পাহাড়ের চূড়া থেকে সমুদ্রের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
হিমছড়ি ঝর্ণা: হিমছড়ি ঝর্ণাটি একটি ছোট্ট ঝর্ণা যা বর্ষাকালে খুবই সুন্দর হয়।
হিমছড়ি ইকোপার্ক: হিমছড়ি ইকোপার্কটি একটি ছোট্ট বন যা বিভিন্ন ধরনের গাছপালা এবং প্রাণীর আবাসস্থল। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হয়। উদ্যানটি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
হিমছড়ি জলপ্রপাতঃ
হিমছড়ি জলপ্রপাত বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার হিমছড়ি ইকোপার্কে অবস্থিত একটি ছোট্ট ঝর্ণা। ঝর্ণাটি ৪০ ফুট উঁচু এবং এর জলপ্রবাহ খুবই মনোরম। ঝর্ণাটি বর্ষাকালে খুবই সুন্দর হয়। ঝর্ণার চারপাশের সবুজ পাহাড়ের সাথে ঝর্ণার জলপ্রবাহ একটি অপূর্ব দৃশ্য তৈরি করে। হিমছড়ি জলপ্রপাতটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। ঝর্ণাটি দেখতে প্রতিদিন অনেক পর্যটক এখানে আসেন। ঝর্ণাটি দেখতে কক্সবাজার শহর থেকে বাস, টেক্সি বা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাওয়া যায়।
কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার ভাড়াঃ
কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের গাড়ি ভাড়া করা যায়। জনপ্রিয় বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে:
বাস: কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার জন্য প্রতিদিন বেশ কয়েকটি বাস রয়েছে। বাসের ভাড়া জনপ্রতি ৫০-১০০ টাকা।
টেক্সি: কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার জন্য টেক্সি ভাড়া করা যেতে পারে। টেক্সির ভাড়া সাধারণত ৪০০-৬০০ টাকা।
সিএনজি: কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার জন্য সিএনজি ভাড়া করা যেতে পারে। সিএনজির ভাড়া সাধারণত ৩০০-৪০০ টাকা। হিমছড়ি ইকোপার্কের প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। নিচে কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের গাড়ির ভাড়ার একটি তালিকা দেওয়া হল:
যানবাহন |
ভাড়া |
বাস | জনপ্রতি ৫০-১০০ টাকা |
টেক্সি | ৪০০-৬০০ টাকা |
সিএনজি | ৩০০-৪০০ টাকা |
দ্রষ্টব্য: ভাড়াগুলি কেবলমাত্র অনুমানমূলক এবং বাস্তব ভাড়া পরিবর্তিত হতে পারে।
হিমছড়ি নিয়ে কবিতাঃ
হিমছড়ি
সৈকতের সাদা বালি,
পাহাড়ের সবুজ গাছ,
ঝর্ণার শীতল জল,
সব মিলিয়ে হিমছড়ি।
পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে,
দেখি সমুদ্রের সৌন্দর্য,
মন ভরে যায়,
এই দৃশ্য দেখে।
হিমছড়ি, তুমি যেন এক স্বপ্নের দেশ,
যেখানে যাওয়ার ইচ্ছে,
প্রতিটি মানুষের।
তুমি যেন বাংলাদেশের,
এক অপরূপ রূপ,
আমি তোমাকে ভালোবাসি,
হিমছড়ি।
আমাদের শেষ কথাঃ
হিমছড়ি পাহাড় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি পর্যটনস্থল। কক্সবাজার থেকে এটি ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সুবিশাল সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। পাঠক এই লেখায় আপনি জানতে পেরেছেন কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার উপায় এবং কিছু দর্শনীয় স্থান। হিমছড়িতে একটি জলপ্রপাত রয়েছে যা এখানকার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। যদিও বর্ষার সময় ছাড়া অন্যান্য অনেক সময়ই ঝরণায় পানি থাকে না বা শুষ্ক থাকে। তবুও প্রাকৃতিক পরিবেশ হিসেবে হিমছড়ি, পর্যটকদের অনন্য এক আকর্ষণ।
স্যার আমাদের কি নিয়ে গেছেন??
nice