এখানে পাঠক একাদশ শ্রেণির বাংলা মানব কল্যাণ প্রবন্ধ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর সহ দেওয়া আছে। এগুলো বোর্ডের বিভিন্ন বই থেকে কালেকশন করে হয়েছে। এই অনুধাবনমূলক গুলো এখানে উত্তর সহকারে খুব সুন্দর করে সাজিয়েছি। যা আমাদের শিক্ষার্থী বন্ধুদের খুবই উপকারে আসবে বলে আশা করি। তাই পাঠক আর দেরি কেন চলুন মানব কল্যাণ প্রবন্ধ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর গুলো ভালো করে দেখে নেই। মানব কল্যাণ প্রবন্ধ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর গুলো পাঠক পড়ি –
মানব কল্যাণ প্রবন্ধ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর
০১। ‘সত্যিকার মানব কল্যাণ মহৎ চিন্তা ভাবনারই ফসল।’ এ বাক্যের মর্মার্থ লেখ।
সত্যিকার মানক কল্যাণে মহৎ চিন্তা-ভাবনারই ফসল। বলতে বেরানো হয়েছে মহৎ চিন্তাও বাস্তবায়নই প্রকৃত মানব কল্যাণ। ধানব কল্যাণ বলতে আমরা মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রয়াসকে বুদ্ধি। এই কল্যাণ করতে গিয়ে কোনোভাবেই যেন মানব-মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করা না হয় সে বিষয়টির দিকে লক্ষ রাখা জরুরি। এ বিষয়টি মাথায় রেখে যারা অন্যের কল্যাণ করতে চান তারাই প্রকৃত মানুষ। এদেশের মহৎ প্রতিভাবানরা সবাই মানবিক চিন্তা আর আদর্শের উত্তরাধিকার রেখে গেছেন।
০২। লেখকের মতে ‘মানব কল্যাণ’ বলতে কী বোঝায়? বর্ণনা কর।
লেখকের মতে ‘মানব কল্যাণ’ বলতে মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস বোঝানো হয়েছে। মানব-কল্যাণের লক্ষ্য হওয়া উচিত মহৎ। সকল অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানোকে মানব-কল্যাণ বলা হয়। এটি মানুষের আত্মমর্যাদাকে বৃদ্ধি করে সেই সাথে মানবিক চেতনার বিকাশ ঘটায় এবং পরাবলম্বন থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়।
০৩। “রাষ্ট্র জাতির যৌথ জীবন আর যৌথ চেতনারই প্রতীক”-
উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? “রাষ্ট্র জাতির যৌথ জীবন আর যৌথ চেতনারই প্রতীক বলতে বোঝানো হয়েছে রাষ্ট্রের সাথে জাতীয় জীবন ও চেতনা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি রাষ্ট্রের অবস্থান প্রতিফলিত হয় তার জাতি ও তাদের চেতনার মাধ্যমে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব শুধু প্রশাসন চালানোই না। জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্র হাতপাতা আর চটুকারিতাকে প্রশ্রয় দিলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি বা নাগরিক সৃষ্টি করতে পারবে না। তাই মানব কল্যাণের যথার্থ পরিবেশ রাষ্ট্রেরই তৈরি করতে হবে।
০৪। ‘মানব কল্যাণ’ কীভাবে মানব-মর্যাদার সহায়ক হয়ে উঠবে?
মানব কল্যাণ মানব-মর্যাদার সহায়ক হয়ে উঠবে কল্যাণময় পৃথিবী রচনা হলে। কোনো মানুষকে দয়া বা করুণার বশবর্তী হয়ে দান খয়রাত না করে তাকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়ে দেয়া উচিত। এতে তার মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি পাবে, মানবিক চেতনার বিকাশ হবে। পাশাপাদি যুক্ত বিচারবুদ্ধির সাহায্যে বিজ্ঞানের অভাবনীয় আবিষ্কারকে পাংসের পরিবর্তে সৃজনশীল মানবিক কর্মে নিয়োগ কর গেলেই মানব কল্যাণ মানব মর্যাদার সহায়ক হয়ে উঠবে। ।
‘সর্বজীবের হিত-কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছো ব্যাখ্যা কর।
‘সর্বজীবে হিত’ বলতে সৃষ্টি জগতের সকল জীবের উপকারের কথা বলা হয়েছে। কেবল সদিচ্ছার দ্বারাই মানব-কল্যাণ সাধন সম্ভব নয়। সকল অবমাননাকর পরিস্থিতি থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় উত্তরণ ঘটানো হলে তবেই মানব-কল্যাণ সংঘটিত হয়। তাই সব ধর্ম আর ধর্ম প্রবর্তকেরা বার বার মানুষের ভালো ও কল্যাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু শুধু মানুষের কল্যাণে যেমে গেলেই চলবেনা। বরং এর সাথে সাথে অন্য সকল সৃষ্টিকুলেরও উপকার করতে হবে। তবেই সার্বিক কল্যাণ সাধিত হবে।
০৬। মানব-কল্যাণ কথাটা আমরা সস্তা ও মামুলি বানিয়ে ফেলেছি কীভাবে? বুঝিয়ে লেখ।
দান খয়রাত ও মানব কল্যাণকে এক মনে করে আমর মানব-কল্যাণ কথাটাকে সস্তা ও মামুলি বানিয়ে ফেলেছি। মানব-কল্যাণ বলতে আমরা অনেকেই দান-খয়রাত বা কাঙালি ভোজনের মতো কাজ কর্মকে বুঝে থাকি। যারা এ সকল কাজ করে, তাদের আমরা বাহবা দেই। কিন্তু এটি প্রকৃত মানব- কল্যাণ নয়। মানব-কল্যাণ মানুষকে অবমাননাকর পরিস্থিতি থেকে মর্যাদার দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু আমরা এর প্রকৃত অর্থ অনুধাবনে ব্যর্থ হয়ে একমুষ্টি ভিক্ষা দেওয়াকেও মানব কল্যাণ মনে করছি। আর এভাবে মানব-কল্যাণ কথাটাকে আমরা সন্তা ও মামুলি বানিয়ে ফেলছি। বিলাসী গল্পের mcq এর জন্য এখানে ক্লিক করুন।
০৭। “ওপরের হাত সব সময় নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ।”- ব্যাখ্যা। কর।
“ওপরের হাত সব সময় নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠা উক্তিটি ইসলামের নবির। এখানে ওপরের হাত মানে দাতা যে হাত তুলে ওপর থেকে অনুগ্রহ বর্ষণ করে। আর নিচের হাত মানে গ্রহীতা যে হাত পেতে গ্রহণ করে। মনুষ্যত্ব আর মানব-মর্যাদার দিক থেকে অনুগ্রহকারী আর অনুগৃহীতের মধ্যে যে আকাশ-পাতাল তফাত, সে বিষয়টিই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা প্রকাশ পায়।
আমাদের শেষ কথাঃ
পাঠক আশা করি মানব কল্যাণ প্রবন্ধ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর এই লেখার মাধ্যমে পেয়েছেন। এই রকম নতুন নতুন তথ্যের জন্য আমাদের সাইটি নিয়মিত ভিজিট করি।