পাঠক আজকে আমরা নিয়ে এসেছি আপনার ছোট্ট সোনামনির জন্য বাংলার প্রকৃতি রচনা ৪র্থ শ্রেনী । যা অনেক অবিভাবক খুজে তার বাচ্চাদের জন্য খুঁজে। প্রিয় পাঠক আজকে আমাদের এই লেখা শুধু আপনাদের জন্য।
সুচনাঃ
সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ। এর চারদিকে কেবলই অপরূপ রূপের পসরা। যেদিকে তাকাই প্রকৃতির অশেষ সৌন্দর্যে মন ভরে যায় । এমন দেশ পৃথিবীর আর কোথাও নেই। (চতুর্থ শ্রেণির প্রথম প্রান্তিক পরীক্ষার সাজেশন এর জন্য এখানে ক্লিক করুন।)
বাংলার ঋতুর বর্ণনাঃ
ষড় ঋতুর বাংলাদেশ। প্রতি দুই মাস হয় একটি ঋতু । যেমন বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস মিলে গ্রীষ্মকাল। এরপর আষার ও শ্রাবণ মাস মিলে ছয় বর্ষাকাল। এভাবে ভাদ্র আশিন মিলে হচ্ছে শরৎকাল । তার পরে কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই দুটি মাস নিয়ে হয় হেমন্তকাল, পৌষ আর মাঘ মাস নিয়ে হয় শীতকাল। ফাল্গুন ও চৈত্র এই মাসে দু মাস নিয়ে হয় বসন্তকাল।
বাংলাদেশের বিভিন্ন ঋতুতে প্রকৃতির বর্ণনাঃ
আমাদের এই দেশে ভিন্ন ঋতুতে রয়েছে প্রকৃতির নতুন নতুন সাজ। গ্রীষ্মকাল প্রচন্ড গরম। গরমে মানুষ আশপাশ হয়ে উঠে। বর্ষায় সারাদিন বৃষ্টি পড়ে, আর শরৎ কালে আকাশে সাদা মেঘ তুলোর ভেসে বেড়ায়। আর হেমন্তে কৃষক ঘরে মাঠের সোনালী ফসল। তখন বাংলার প্রতিটি ঘরে শুরু হয় নবান্ন উৎসব। এরপর আসে শীত কাল। এই শীতকালে আমরা খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করি নানান পিঠাপুলি। আর বছরের একেবারে শেষ প্রান্তে আসে বসন্ত কাল, এই সময় মাঠে ঘাটে কুকিল ডাকে, এছাড়ও গাছে গাছে নতুন ফুল ও সবুজ পাতায় ভরে উঠে ।
প্র্রকৃতির অবদানঃ
গ্রীষ্মকালকে বলা হয় মধু মাস। এ সময় মধুর মত মিষ্টি নানা ফল পাওয়া যায় । বর্ষায় ফুটে কদম, কেয়া ও আরো নানা ফুল। শরতের শিউলি ফোটে এবং নদীর পাড়ে সাদা কাশফুল ভরে যায়, এই সময় নবান্নের উৎসবে ঘরে ঘরে আনন্দ নিয়ে আসে । আর শীতে খেজুরের রস দিয়ে তৈরি হয় নানা পিঠাপুলি। আর বসন্তে কোকিল ডাকে, নানা রঙের ফুল ফলে মাঠ ভরে যায়।
উপসংহারঃ
এদেশের বন, সবুজ সোনালী ফসলের মাঠ, নদী খাল বিল এত বিচিত্র সুন্দর রূপ পৃথিবীর আর কোথাও নেই। তাই তো কবির ভাষায় বলতে হয “ এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি”।
It’s Very helpful page.
It’s Very helpful page
Pingback: বৃক্ষ রোপন রচনা ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনির ৩০০ শব্দের দেখুন